আমাদের সবাইয়েরই জানার ইচ্ছা থাকে যে রেসলিং ম্যাচ খেলতে খেলতে কোন রেসলারের মৃত্যু হয়েছে কিনা...এবং এই ব্যাপারে নেটে সার্চ দিলেই এডি গরেরোর একটা ভিডিও উপরের দিকে থাকে, সেটা দেওয়া হল-
অনেকে ভাবে এটা আসল তবে অনেকেই ভাবে এটা সত্য নয়। বিভ্রান্তিটা পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার বলে মনে করি।
আসল কথা হচ্ছে, না... এডি গরেরো স্ম্যাকডাউনের এই ম্যাচ চলার সময় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাননি। এডি প্রকৃতপক্ষে মারা গেছেন ২০০৫ সালের নভেম্বরে, মিনিয়াপোলিস, মিনেসোটার একটি হোটেল কক্ষে। তাঁর ভাস্তে চাভো গরেরো তাঁকে মৃত অবস্থায় সেই কক্ষে আবিস্কার করেন। কিভাবে নিশ্চিত হবেন? কিছু যুক্তি দেওয়া যাক।
১। এই ছবি বা ভিডিওটি প্রকৃতপক্ষে ২০০৪ সালের মে মাসের। আমরা এই ভিডিওতে এডি গরেরোর লুকস বা এপিয়ারেন্স দেখলে সহজেই বুঝতে পারবো। ২০০৫ সালে মারা যাওয়ার আগে এডির চুল ছিলো সামনের দিকে পুরোটা সোনালী ডাই করা, সাথে বেশ ঘন ফ্রেঞ্চকাট, যা এখানে ছিলো না। ষে সময় তিনি ম্যাচের সময়েও একটা ভেস্ট বা গেঞ্জি পরে আসতেন, সেটাও এখানে ছিলো না।
২। সেই সময়ে তাঁর ফিউড ছিলো বাতিস্তার সাথে। কিন্তু এই ম্যাচ চলাকালীন সময়ে একবারের জন্যও কমেন্টেটররা বাতিস্তাকে মেনশন করেন নি।
৩। কমেন্টেটর ট্যাজ ম্যাচের এক পর্যায়ে এডিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "The champ is fired up." ২০০৫ সালে মারা যাওয়ার আগে দিয়ে এডির কাছে কোনো চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্ট ছিলো না।
৪। এটা অবশ্যই একটা স্টোরিলাইন ঘটনা। কারন, রিয়াল লাইফে একজন রেস্লার হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাচ্ছেন, এমন অবস্থায় জেবিএল দৌড়ে এসে তাঁকে পিন করার চেষ্টা করতেন না। জেবিএল ব্যক্তিগত জীবনে কোনো ভিলেন নন। আমরা সর্বোচ্চ আশা করতে পারি, যে জেবিএল নিজের ক্যারেক্টার ভাঙতেন না, বা এডির সাহায্যে হয়তো আসতেন না (আমার কাছে এটাও অবাস্তব মনে হয়)। কিন্তু ঘটনার সুবিধা নেওয়াটা কোনোমতেই সম্ভব না।
৫। ঘটনার সময়ে এডি গরেরো আর জেবিএলের মধ্যে একটা ফিউড বা রাইভালরি চলছিলো। এর কিছু পরেই জেবিএল এডির কাছ থেকে WWE চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেন। এরকম সময়ে খুব সম্ভব এডিদের পারিবারিকভাবেই দুর্বল হার্টের মানুষ হিসেবে দেখানো হচ্ছিলো, কারন এর কিছুদিন আগে জেবিএল এডির মাকেও হার্ট অ্যাটাক (কেইফেব) করিয়েছেন। ন্যাক্কারজনক সুবিধা নেওয়ায় জেবিএলকে উপযুক্ত হিট (ঘৃণা) দেওয়াই ছিলো ঘটনার মুল উদ্দেশ্য।
Credit : AB Hasan Chowdhury