২০০৩ সালে ট্রিপল এইচ একটা ফ্যাকশন তৈরি করার নির্ণয় নিলে জন্ম নেই WWE ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফ্যাকশনের মধ্যে একটি "ইভোলিউশন"। এই গ্রুপের সদস্যরা ছিলেন দ্যা গেম ট্রিপল এইচ নিজে, নেচার বয় রিক ফ্লেয়ার, দ্যা ভাইপার র‍্যান্ডি অরটন এবং দ্যা অ্যানিম্যাল খ্যাত বাতিস্তা। এই গ্রুপের প্রত্যেকেই তখন WWE এর মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ফলে গ্রুপটি আগামী কয়েক বছর ধরেই রাজত্ব করে যায়।


মনে করা হয় এভোলিউশনের আইডিয়াটা এসেছিল আগেকার একটা রেসলিং স্টেবল 'The Four Horsemen' থেকে, যার ৪ মেম্বারের মধ্যে একজন ছিলেন রিক ফ্লেয়ার নিজেই। ইভোলিউশনের লিডার ছিলেন ট্রিপল এইচ, মেন্টর ছিলেন রিক ফ্লেয়ার এবং বাকি দুই যুবক র‍্যান্ডি ও বাতিস্তা ছিল WWE এর আগামী প্রজন্মের প্রতীক। অর্থাৎ এই গ্রুপের মধ্যে রেসলিং এর ৩ টি জেনারেশন একত্রে ছিল অতীত- রিক, বর্তমান- ট্রিপল এইচ এবং ভবিষ্যৎ- র‍্যান্ডি এবং বাতিস্তা। এই কারণেই গ্রুপটার নাম ছিল ইভোলিউশন যার অর্থ হল বিবর্তন।


এই স্টেবলের প্রধান উদ্দেশ্যের মধ্যে একটা ছিল সেই দুই যুবকের প্রতিষ্ঠা এবং এই কাজে তারা পুরোপুরি সফল হয়েছিল। ট্রিপল এইচ ও ফ্লেয়ার এমনিতেই তখন সুপ্রতিষ্ঠিত এবং হল অফ ফেম ক্যারিয়ার সমম্বিত ছিল, ফলে তারা তাদের টিমের দুই যুবাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছিল। ট্রিপল এইচ ও রিক তাদেরকে শিখিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন রেসলার হবার জন্য কিভাবে চলতে, বলতে ও পড়তে হয়, যেগুলি তারা তাদের ক্যারিয়ারে পরবর্তীতেও পালন করে।


২০০০ সালের শুরুতে WWE এর অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল কারণ Attitude Era শেষ হয়ে  Ruthless Aggression এরা শুরু হচ্ছিল। তখন WCW এবং ECW কে ক্রয় করা WWE এর জন্য বেশী লাভদায়ক হয়নি, তাদের নামের ট্রেডমার্ক ছাড়া সেগুলি কোন কাজেরই ছিল না। এই সময়ে ইভোলিউশনের সেগমেন্টগুলিই WWE কে টেনে নিয়ে যায়। ইভোলিউশন ভেঙ্গে যাওয়ার পরেও প্রত্যেকটা মেম্বার যা করে গেছে তা অভাবনীয়।


ইভোলিউশনের মেম্বারদের কথা বললে, এটা পরিষ্কার ছিল যে ট্রিপল এইচ ভিন্সের জামাই হওয়ার দরুন WWE এর এক্সিকিউটিভের কাজ করবে এবং সেটাই বাস্তবায়িত হয়, ফ্লেয়ারকে দুইবারের জন্য হল অফ ফেমে ইন্ডাক্ট করা হয়, বাতিস্তা WWE তে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও হলিউডেও সফল হয়, এবং তারপরে দ্যা ভাইপারের কথা বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায়।


তার ২০ বছরের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের অ্যাচিভমেন্টগুলি বলতে শুরু করলে অন্য একটা পোস্ট লিখতে হবে। একজন যুবক থেকে লেজেন্ড হওয়ার কাহিনী র‍্যান্ডিই ভালো বলতে পারবেন। তবে তার এই সাফল্যের ছাঁচ তৈরি করে দিয়েছিল ইভোলিউশনে কাটানো সময়। ইভোলিউশনের যদি সবথেকে বড় কৃতিত্ব কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটা হল দ্যা এপেক্স প্রেডিটর র‍্যান্ডি অরটনের সাফল্য এবং লেগাসি।


চার রেসলার, চার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ও চার লেজেন্ড - এদের নিয়ে গঠিত WWE এর ইতিহাসের ঐতিহাসিক ফ্যাকশন হয়ে থাকবে ইভোলিউশন, রেসলিং ইন্ডাস্ট্রিতে যার নাম চিরন্তরের জন্য স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।


• লেখক : রেসলিং বাংলা (via Sportskeeda)

Evolution যেভাবে WWE কে চিরতরে বদলে দিয়েছিল!

২০০৩ সালে ট্রিপল এইচ একটা ফ্যাকশন তৈরি করার নির্ণয় নিলে জন্ম নেই WWE ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফ্যাকশনের মধ্যে একটি "ইভোলিউশন"। এই গ্রুপের সদস্যরা ছিলেন দ্যা গেম ট্রিপল এইচ নিজে, নেচার বয় রিক ফ্লেয়ার, দ্যা ভাইপার র‍্যান্ডি অরটন এবং দ্যা অ্যানিম্যাল খ্যাত বাতিস্তা। এই গ্রুপের প্রত্যেকেই তখন WWE এর মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ফলে গ্রুপটি আগামী কয়েক বছর ধরেই রাজত্ব করে যায়।


মনে করা হয় এভোলিউশনের আইডিয়াটা এসেছিল আগেকার একটা রেসলিং স্টেবল 'The Four Horsemen' থেকে, যার ৪ মেম্বারের মধ্যে একজন ছিলেন রিক ফ্লেয়ার নিজেই। ইভোলিউশনের লিডার ছিলেন ট্রিপল এইচ, মেন্টর ছিলেন রিক ফ্লেয়ার এবং বাকি দুই যুবক র‍্যান্ডি ও বাতিস্তা ছিল WWE এর আগামী প্রজন্মের প্রতীক। অর্থাৎ এই গ্রুপের মধ্যে রেসলিং এর ৩ টি জেনারেশন একত্রে ছিল অতীত- রিক, বর্তমান- ট্রিপল এইচ এবং ভবিষ্যৎ- র‍্যান্ডি এবং বাতিস্তা। এই কারণেই গ্রুপটার নাম ছিল ইভোলিউশন যার অর্থ হল বিবর্তন।


এই স্টেবলের প্রধান উদ্দেশ্যের মধ্যে একটা ছিল সেই দুই যুবকের প্রতিষ্ঠা এবং এই কাজে তারা পুরোপুরি সফল হয়েছিল। ট্রিপল এইচ ও ফ্লেয়ার এমনিতেই তখন সুপ্রতিষ্ঠিত এবং হল অফ ফেম ক্যারিয়ার সমম্বিত ছিল, ফলে তারা তাদের টিমের দুই যুবাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছিল। ট্রিপল এইচ ও রিক তাদেরকে শিখিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন রেসলার হবার জন্য কিভাবে চলতে, বলতে ও পড়তে হয়, যেগুলি তারা তাদের ক্যারিয়ারে পরবর্তীতেও পালন করে।


২০০০ সালের শুরুতে WWE এর অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল কারণ Attitude Era শেষ হয়ে  Ruthless Aggression এরা শুরু হচ্ছিল। তখন WCW এবং ECW কে ক্রয় করা WWE এর জন্য বেশী লাভদায়ক হয়নি, তাদের নামের ট্রেডমার্ক ছাড়া সেগুলি কোন কাজেরই ছিল না। এই সময়ে ইভোলিউশনের সেগমেন্টগুলিই WWE কে টেনে নিয়ে যায়। ইভোলিউশন ভেঙ্গে যাওয়ার পরেও প্রত্যেকটা মেম্বার যা করে গেছে তা অভাবনীয়।


ইভোলিউশনের মেম্বারদের কথা বললে, এটা পরিষ্কার ছিল যে ট্রিপল এইচ ভিন্সের জামাই হওয়ার দরুন WWE এর এক্সিকিউটিভের কাজ করবে এবং সেটাই বাস্তবায়িত হয়, ফ্লেয়ারকে দুইবারের জন্য হল অফ ফেমে ইন্ডাক্ট করা হয়, বাতিস্তা WWE তে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়াও হলিউডেও সফল হয়, এবং তারপরে দ্যা ভাইপারের কথা বলতে গেলে অনেক কিছুই বলা যায়।


তার ২০ বছরের সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের অ্যাচিভমেন্টগুলি বলতে শুরু করলে অন্য একটা পোস্ট লিখতে হবে। একজন যুবক থেকে লেজেন্ড হওয়ার কাহিনী র‍্যান্ডিই ভালো বলতে পারবেন। তবে তার এই সাফল্যের ছাঁচ তৈরি করে দিয়েছিল ইভোলিউশনে কাটানো সময়। ইভোলিউশনের যদি সবথেকে বড় কৃতিত্ব কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটা হল দ্যা এপেক্স প্রেডিটর র‍্যান্ডি অরটনের সাফল্য এবং লেগাসি।


চার রেসলার, চার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ও চার লেজেন্ড - এদের নিয়ে গঠিত WWE এর ইতিহাসের ঐতিহাসিক ফ্যাকশন হয়ে থাকবে ইভোলিউশন, রেসলিং ইন্ডাস্ট্রিতে যার নাম চিরন্তরের জন্য স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।


• লেখক : রেসলিং বাংলা (via Sportskeeda)

কোন মন্তব্য নেই

কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ!